রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
কবীর খান,নিজস্ব সংবাদদাতা : জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের হারানো আইফোনটি ১৮ দিনেও উদ্ধার হয়নি। গত ৩০ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীর উত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে ফোনটি হারান তিনি।সেখানে প্রয়াত ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফের স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন ফরিদুল হক খান। ফোনটি আইফোনের ফিফটিন প্রো ম্যাক্স মডেলের ছিল বলে জানা গেছে। এদিকে ফোন হারানোর ১৮ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত সেটির কোনো হদিস মেলাতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পুলিশ বলছে, মোবাইল ফোন উদ্ধারে এখনো তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, জানাজা নামাজের আগ মুহূর্তে ধর্মমন্ত্রী তার ব্যবহৃত মোবাইলটি অ্যারোপ্লেন মোড অন করে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে রাখতে দেন। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তি মন্ত্রীর মোবাইল ফোনটি আর ফেরত দেননি। এদিকে কার কাছে নিজের মোবাইল ফোনটি দিয়েছেন তাও বলতে পারছেন না তিনি। ধর্মমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, মোবাইল ফোনটি এখনো উদ্ধার হয়নি। ঘটনার দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অপ্রাপ্ত বয়স্ক একজন ছেলেকে শনাক্ত করা হয়েছিল। তবে তার কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এমনকি সেই ছেলেটিকেও এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পুলিশ ফোনটি উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত মোবাইলটি আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট ফোনটি উদ্ধারে কাজ করছে। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। অভিযান সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ধর্মমন্ত্রীর মোবাইল হারানোর খবর পাওয়ার পর থেকেই ফোনটি উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। সেই ডায়েরির সূত্র ধরেই মোবাইলটি খোঁজা হচ্ছে। মোবাইলটি হারানোর সময় এয়ারপ্লেন মোড অন ছিল। বর্তমানেও মোবাইলটির এয়ারপ্লেন মোড অন রয়েছে। এছাড়াও ফোনটি এখনো অ্যাকটিভ করা হয়নি। এর জন্য ফোনটি উদ্ধারে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ফোনটি উদ্ধারে পুলিশ সর্বতো চেষ্টা করছে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমরা জড়িত একজনকে শনাক্ত করেছি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। তবে মনে হচ্ছে জড়িত ব্যক্তি ইসলামপুর কিংবা জামালপুরের বাসিন্দা নন। হতে পারে অন্য কোনো এলাকা থেকে এসেছিল। আসা করছি খুব শিগগির আমরা তাকে ধরে ফেলব। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।